সর্বশেষ

'টি-টোয়েন্টি সিরিজ, লিটনের আক্ষেপ বিজয়ের লড়াকু প্রত্যাবর্তন

প্রকাশ :


২৪খবরবিডি: 'টি-টোয়েন্টি সিরিজ হার এবারও প্রভাব ফেলতে পারেনি ওয়ানডে সিরিজে। গতকাল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ৪ ফিফটিতে ভর করে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩০৩ রান ২ উইকেট হারিয়ে। অবশ্য ৮১ রান করার পর ইনজুরিতে লিটন দাস রিটার্ডহার্ট না হলে ইনিংসে দেখা মিলতো একটি সেঞ্চুরিও। ব্যথা ও অক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়েন বাংলাদেশ দলের এই ওপেনার।

 

অন্যদিকে ৩ বছর পর ওয়ানডে দলে মধুর প্রত্যাবর্তন হয়েছে এনামুল হক বিজয়ের। খেলেছেন ৬২ বলে ৭২ রানের দারুণ এক লড়াকু ইনিংস। সবশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দলে থাকলেও তার একাদশে খেলার সুযোগ হয়নি। ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের ৫০ ওভারের ফরম্যাটে রেকর্ড গড়ে দলে ফিরলে তাকে ক্যারিবীয় সফরে খেলানো টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি। অন্যদিকে ওপেন করতে নেমে দলকে দারুণ শুরু এনে দেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ৬২ রানে আউট হলেও দেশের হয়ে ওয়ানডে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে স্পর্শ করেন ৮ হাজার রানের মাইল ফলক। এছাড়াও হজের কারণে ছুটিতে থাকা মুশফিকুর রহীম মাঠে ফিরেই হাঁকিয়েছেন অপরাজিত ফিফটি রানের ইনিংস। ওয়ানডেতে এই নিয়ে চতুর্থবার ফিফটি ছোঁয়া ইনিংস দেখা বাংলাদেশ। বলার  অপেক্ষা রাখে না ওয়ানডে সুপার লীগে ১২০ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা টাইগাররা দাপট অক্ষুণ্ন রেখেছে জিম্বাবুয়েতেও। টাইগারদের ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে সব মিলিয়ে ২৩টি ৩শ' ছাড়ানোর ইনিংস রয়েছে। এর মধ্যে গতকালেরটি সহ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই আছে ৭টি। এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ৩৩৩/৮ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২০১৯ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের নটিংহ্যামে। অন্যদিকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ৩২২/৮ রান সিলেটে ২০২০ এ। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবুয়ের অধিনায়কের সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণ করতে শুরু করেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। অধিনায়ক সবার আগে তুলে নেন নিজের ১৪তম ফিফটি। এরপর রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু জিম্বাবুয়ে পেলো প্রথম উইকেটের দেখা। ব্রেক থ্রু এনে দেওয়া বোলার সিকান্দার রাজা। তার  বল মিড উইকেট দিয়ে উড়িয়ে মারার চেষ্টা করেন তামিম। কিন্তু ব্যাটের কানায় লেগে সহজ ক্যাচ যায় শর্ট থার্ড ম্যানে। ৯ চারে ৮৮ বলে ৬২ রান করে শেষ হলো তামিমের ইনিংস। জুটি থামলো ১১৯ রানে। হারারেতে তামিম ফেরার পর ফিফটি পূর্ণ করেন লিটন দাসও, যা তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সপ্তম। ৭৫ বলে ফিফটি হাঁকানোর লিটন পরের ১৪ বলে করেন ৩১।  সেঞ্চুরি পথে থাকা লিটন শেষপর্যন্ত রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফিরলেন ৮১ রানে। তার আগে তিন বছর পর ওয়ানডে দলে ফেরা বিজয়কে নিয়ে গড়ে তোলেন ৫২  রানের জুটি।


'পেশিতে টান লেগে লিটন মাঠ ছাড়ার পর দলে হাল ধরেন বিজয়। একবার জীবন পয়েও জীবন পাওয়ার পর খুব বেশি দূরে এগোতে পারেননি তিনি। ৭১ রানে বেঁচে যাওয়া ব্যাটসম্যান আউট হলেন ৭৩ রানে। তবে তিন বছর পর ওয়ানডেতে ফেরার ম্যাচটিতে কাজে লাগালেন সুযোগ। ৪৬তম ওভারের প্রথম চার বলে রান আসে। বড় শট তাই খেলতেই হতো। ভিক্টর নিয়াউচির বলে সেই চেষ্টাই করেন এনামুল। ফুল লেংথ বল চেষ্টা করেন ছক্কায় উড়তে। তবে মারে জোর পাননি বেশি। লং অনে ক্যাচ নেন তারিসাই মুসাকান্দা। ৬২ বলে ৭৩ রানে আউট হলেন এনামুল।

'টি-টোয়েন্টি সিরিজ, লিটনের আক্ষেপ বিজয়ের লড়াকু প্রত্যাবর্তন

মুশফিকের সঙ্গে তার জুটি ৭৬ বলে ৯৬ রানের। এরপর মাহমুদুল্লাহকে নিয়ে দলের হাল ধরেন মুশফিকুর রহীম। ৪৫ ওভারের পর টাইমিং করতে একটু ভুগছিলেন মুশফিক। তবে শেষ ওভারে প্রত্যাশিত ফিফটির দেখা পেলেন তিনি। ৪৮ বলে স্পর্শ করলেন পঞ্চাশ। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে তার ৪২তম ফিফটি এটি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪৯ ম্যাচে ফিফটি হলো ৯টি, আরও দু'টি আছে সেঞ্চুরি।'

-অন্যদিকে ১২ বলে ২০ রান করা মাহমুদুল্লাকে খুব বেশি প্রাণবন্ত দেখা যায়নি। শেষ পাঁচ ওভারে যেভাবে দলের রান ওঠার কথা সেটি করতে পারেননি দলের দুই অভিজ্ঞ মুশফিক ও মাহমুদুল্লাহ। যদিও দু'জনই অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন। দু'জনের অপরাজিত জুটিতে আসে ২৫ বলে ৩৬ রান। এছাড়াও ওয়ানডেতে ২০১৪ এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ইনিংসে ৪ ফিফটির দেখা পেয়েছিল বাংলাদেশ। সেবার সেঞ্চুরি করেছিলেন এনামুল হক, ফিফটি করেন ইমরুল কায়েস, মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিম। এরপর ২০১৫ সালে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৩১৯ রান তাড়ায় পঞ্চাশ ছাড়ান তামিম ইকবাল, মাহমুদুল্লাহ, মুশফিক ও সাকিব আল হাসান।

Share

আরো খবর


সর্বাধিক পঠিত